কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তিন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে বলে দাবি করা হয়। এদিকে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে র্যাব। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের একটি রিসোর্ট থেকে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই গৃহবধূ। এরপর তাঁরা শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তাঁর আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে তিন জন। ধর্ষণ শেষে তাঁকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। এর মধ্যে ওই নারী জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় দরজা খোলেন। এরপর ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। পুলিশ তাঁকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।
এরপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন কক্সবাজার র্যাব অফিসে। রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার র্যাবের একটি টিম জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।
মেজর মেহেদী হাসান জানান, ‘খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিন জনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’