কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যের ‘সেনা বাজার’
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় বিনামূল্যের ‘সেনা বাজার’ এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন। এ বাজারের মাধ্যমে কর্মহীন অসহায় মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এবং কাঁচা বাজারের চাহিদা পূরণে সহায়তা করছে সেনাসদস্যারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চকরিয়া উপজেলার আব্দুর রশিদ উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সেনা বাজারের আয়োজন করা হয়। ৫০০ গরিব পরিবারের মধ্যে চাউল, আটা, তেল, লবণ, ডাল, ডিম, সেমাই, বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ দ্রব্যসামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। সেনাসদস্যরা সরাসরি দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে এই বাজারে নিয়ে আসে। ফলে অসহায় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে উপকৃত হচ্ছে। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ অসহায় মানুষের ঈদ আনন্দকে অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী প্রধানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে ঈদ উপহার হিসেবে এই ‘সেনা বাজার-এর আয়োজন করা হয়। জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলা হাজরা, হারবাং, কোনাখালী, বদর খালী, চিরিংগা এবং চকরিয়াসহ পাঁচটি ইউনিয়ন থেকে সেনাসদস্যরা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরি করে। এভাবে বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে ৫০০ পরিবারকে সেনা বাজারের মাধ্যমে সাহায্য করা হয়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার চারটি উপজেলায় গত ২৪ মার্চ থেকেই মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। টহল কার্যক্রমসহ করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণ করছে তারা। নিজেদের রেশন বাঁচিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী কর্মহীন অসহায় পরিবারের মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে। এ ছাড়া অসহায় দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তাও দিচ্ছে সেনাসদস্যরা। গত ঈদুল ফিতরেও ‘সেনা বাজার’ পরিচালনার মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের ঈদ আনন্দে শামিল হয়েছিল ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা।
ঈদুল আজহার আগে ১০ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে এমন ঈদ উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত হতদরিদ্র মানুষগুলো। এ ধরনের মানবিক সহায়তার জন্য তারা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও দোয়া করে।
পর্যায়ক্রমে জেলার অন্যান্য এলাকাতেও সেনাবাহিনীর মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।