কক্সবাজারে ফের ১০ দিনের লকডাউন ঘোষণা
কক্সবাজারে আজ রোববার থেকে তৃতীয় মেয়াদে আবারও লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। দেশের প্রথম 'রেড জোন' ঘোষিত কক্সবাজার পৌর এলাকায় লকডাউনের ১৪ দিনের মেয়াদ গতকাল শনিবার শেষ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউনের সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জেলার চকরিয়া উপজেলার রেড জোন এলাকায়ও আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেছেন, 'করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় জেলা প্রশাসন গত ৬ জুন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষণা করে ১৪ দিনের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে লকডাউন করে। প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার ছিল লকডাউনের শেষ দিন।'
মাসুদুর রহমান আরো বলেন, 'কক্সবাজার পৌর এলাকায় আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৬ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত রেড জোন ঘোষণা করে ফের লকডাউন করা হয়। কিন্তু এ পৌর শহরটিতে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯০ জন। এদের অধিকাংশই আক্রান্ত হয়েছে গত ২০ দিনে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জন। এদের মধ্যে ১৫ জনই কক্সবাজার পৌর এলাকার বাসিন্দা।'
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজার পৌর এলাকায় লকডাউনের মেয়াদকাল আরো ১০ দিন বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মাসুদুর রহমান বলেন, 'লকডাউনের বর্ধিত মেয়াদকালে আগের মতোই দেশের সার্বিক কার্যাবলি ও জনসাধারণের চলাচলের নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য শর্ত বলবৎ থাকবে। এ ছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের আগের মতো দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।'
এদিকে, কক্সবাজার পৌর এলাকা ছাড়াও গত ৭ জুন চকরিয়া পৌর এলাকা ও ডুলহাজারা ইউনিয়ন, টেকনাফ পৌর এলাকা এবং উখিয়া উপজেলার কোটবাজার স্টেশনের আশপাশের তিনটি ওয়ার্ডকে লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন কুতুপালং স্টেশনের আশপাশের এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। পরে ৮ জুন লকডাউন করা হয় উখিয়া উপজেলা সদর স্টেশনের আশপাশের তিনটি ওয়ার্ডকে। এ ছাড়া টেকনাফ পৌরসভাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হয়।
তবে কক্সবাজার পুরো জেলায় ফের লকডাউন করা এসব এলাকার মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে কি না, তা পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।