কক্সবাজারে করোনায় পুলিশ সদস্য ও রোহিঙ্গার মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত কক্সবাজার জেলায় কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা যান।
ওই পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১০ জুন ওই পুলিশ কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘করোনায় মারা যাওয়া কক্সবাজার জেলায় কর্মরত প্রথম পুলিশ সদস্য। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৫০ জনেরও অধিক।’
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গার (৭০) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয় রোহিঙ্গার মৃত্যু হলো।
মৃত বৃদ্ধ রোহিঙ্গা উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১১ নম্বর শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ‘সি’ ৭-এর বাসিন্দা।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আবু তোহা জানান, ওই বৃদ্ধ রোহিঙ্গা গত ১২ জুলাই জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ নিয়ে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের আইসোলেটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিপিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ১৩ জুলাই তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফ শরণার্থী শিবিরে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৩ জন রোহিঙ্গা। এ ছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে রোহিঙ্গাসহ ৩০৮৩ জন। ছয় রোহিঙ্গাসহ মোট মারা গেছে ৪৯ জন। এ পর্যন্ত ১৯০০ বেশির সুস্থ হয়েছে।