কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে চলছে হরতাল
কক্সবাজারের জনপ্রিয় তরুণ সংগীতশিল্পী জনি দে ও দিনমজুর মো. কালুর খুনিদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে হরতাল পালন করছে স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে এই হরতাল চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এর আগে গতকাল বুধবার ঈদগড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে স্থানীয়দের বৈঠকে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
সংগীতশিল্পী জনি দে ও দিনমজুর মো. কালুর খুনিদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে এর আগে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় ঈদগড়বাসী। হত্যার ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও প্রশাসন জনি ও কালুর খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঈদগড় সড়কে হরতালের ডাক দেওয়ায় আজ সকাল থেকে এই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঈদগড় বাজারেও হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে এলাকাবাসী।
এ ছাড়া জনি দে ও মো. কালুর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
ঈদগড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু কল্যাণ সমিতির সভাপতি অধির বাবু, ডা. রাধে শ্যাম আচার্য্য, বাজার সমিতির সেক্রেটারি নিজাম উদ্দীন, সিএনজি সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, সেক্রেটারি নেজাম উদ্দীন, টমটম সমিতির সভাপতি এহসানুল হক, সেক্রেটারি আয়ুব আলম, ফার্নিচার সমিতির সেক্রেটারি নাছির উদদীন, সমাজসেবক বনি আমিন, সৌদি আরব প্রবাসী ফরিদ আহাম্মদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদগড়বাসীর ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হলেও পুলিশ এখনো খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও ঈদগড় সড়কের ডাকাতিপ্রবণ স্থানে সেনা বা বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে ঈদগাঁওর হিমছড়িঢালা এলাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় খুন হন এ অঞ্চলের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জনি দে। হামলার সময় জনির সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা আহত মো. কালু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত শনিবার বিকেলে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত জনি দের বাবা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। জনি দের পরিবারের দাবি, সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে জনিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।