ওয়ারির শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা, দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ
রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ১ নম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নানের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌয়ব আলী এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে নিহত সামিয়ার বোন ফারজানা ইয়াসমিন এবং প্রতিবেশী ফরহাদ হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সময়ের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
তৌয়ব আলী আরো বলেন, আজ দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ মামলায় সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে।
এর আগে ২ জানুয়ারি একই আদালত সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার করার অভিযোগে আসামি হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মো. আরজুন আসামি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নথি থেকে জানা যায়, আসামি হারুন আর রশিদকে গত বছরের ৭ জুলাই তাঁর বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত একটি ভবনের নবম তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতর সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তারা শিশুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।
ঘটনার পরের দিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।