‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ জনগণকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দিয়েছিল। সেই পুরস্কার বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।
সদ্যসমাপ্ত নিউইয়র্ক সফর ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে এই পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। আমি আমার এই পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করছি। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকায় আমরা সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা ও রোহিঙ্গা সংকটের সমস্যা সমাধান করতে যৌথভাবে কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানাই। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ারমারের সৃষ্টি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান এবং বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য এক সরকারি সফরে গত ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করেন। পরে ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান শেষে ১ অক্টোবর দেশে ফেরেন।
গত ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। তিনি ২০ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে উৎসর্গকৃত একটি বেঞ্চ উদ্বোধন এবং একটি চারাগাছ রোপণ করেন।