এসএসএফের নিরাপত্তা পাবেন জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত আইনের আওতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) নিরাপত্তা পাবেন।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আইনের বিষয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ রয়েছে। এই আইনে নিরাপত্তা দেওয়ার বিধান থাকলেও এসএসএফের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নেই। কিন্তু ২০০৯ সালের আইনের অধীনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের এসএসএফের মাধ্যমেই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
সচিব বলেন, সামরিক শাসনের সময় জারিকৃত অধ্যাদেশের মাধ্যমে এতদিন ধরে এসএসএফের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এখন এ অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের বিষয়গুলোকেই আইনে রাখা হয়েছে। আইনে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার পরিবারের সদস্য বলতে তাঁর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাঁদের সন্তানরা। সন্তানদের স্বামী ও স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তানরাও এ আইন অনুযায়ী এসএসএফের নিরাপত্তা পাবেন।
এ ছাড়াও আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২১’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনের বিষয়ে সচিব বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত ব্যাংক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’-এর আওতায় পরিচালিত হয়। ব্যাংকগুলোর মোট সংখ্যা, মোট সম্পদ, আমানত, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওই আইন সবকিছু কাভার করছিল না। সেজন্য ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা, তদারকি, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন এবং স্থিতিশীলতার জন্য এই আইনটি করা প্রয়োজন ছিল। সেজন্য এই সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই আলোকে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক কোম্পানি আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আইনের সংশোধনী খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।