এলডিপি আমার নামে নিবন্ধিত : অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘এলডিপি আমার নামে নিবন্ধন করেছি। এটি এক নম্বর রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল। সুতরাং এলডিপি অন্য কারো আইনগতভাবে নেওয়ার অধিকার নাই।’
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ এ কথা বলেন।
‘আপনি নিজেও এলডিপি দাবি করেছেন, আবার আব্দুল করিম আব্বাসী এবং শাহাদাত হোসেন সেলিমও নিজেদের দাবি করছেন, আসলে মূল এলডিপি কোনটা’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘কেউ যদি তাঁর বাপের নাম বাদ দিয়ে আমার নামে পরিচিত হতে চায়, আমার কোনো অসুবিধা নাই।’
এলডিপির ওই অংশকে যদি ২০ দল স্বীকৃতি দেয় তাহলে আপনাদের অবস্থান কী হবে- এর জবাবে এলডিপির প্রধান বলেন, ‘আমি তো ২০ দলের ইনচার্জ না। যখন এটা হবে তখন সেটা দেখব।’
‘১২ বছর আগে আমি এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। তাঁরা ছিলেন আমার দলের সদস্য, সন্তান সমতুল্য। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলাটা অশোভনীয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
গত ৯ নভেম্বর এলডিপির নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি নিয়ে অলি আহমদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন কয়েকজন নেতা। তাদের অভিযোগ, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলডিপি সভাপতি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর প্রোগ্রাম হয়েছে ২৬ অক্টোবর। সেই প্রোগ্রামের তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না এবং তাঁরা আমার দলের সদস্য না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ২০ দলের এই নেতা বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ, সে বিষয়ে আপনাদের বলতে চাই, এই সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, মানব অধিকার নিশ্চিতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সুতরাং তাদের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই।’
অলি আহমদ আরো বলেন, সময় এসেছে এই সরকারের পদত্যাগ করার। সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাব এবং নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাব। অন্যথায় সমগ্র দেশের মানুষকে বলব, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, এই সরকারের বিরুদ্ধে অবরোধ মিটিং-মিছিল করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুনির হোসেন কাসেমী, বিএনপিনেতা ব্যারিস্টার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সরোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।