এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দুদকের
অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৩৬ কোটি টাকা দুবাই ও সিঙ্গাপুরে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের (এবি ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান, নয় পরিচালকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি তিনটি মামলা করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
অনুমোদন পাওয়া মামলাগুলোর প্রতিবেদনে ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুযোগ নিয়ে এলসির বিপরীতে ২৩৬ কোটি চার লাখ টাকা পাচার করেছেন।
মামলায় এবি ব্যাংকের বোর্ড পর্যায়ের যাঁরা আসামি হচ্ছেন তাঁরা হলেন—সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায়, জাকিয়া এস আর খান ও মো. মেজবাউল হক।
এ ছাড়া আসামি হচ্ছেন—এবি ব্যাংকের ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব অপারেশন্স সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইভিপি অ্যান্ড হেড অব আইসিসিডি মো. শাহজাহান, ইভিপি অ্যান্ড হেড অব আইসিসিডি মো. আমিনুর রহমান, সাবেক ইভিপি সরফুদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আরিফ নেওয়াজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন, অ্যাসিসট্যানন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আশিকুর রহমান, সাবেক ইভিপি কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক এসইভিপি অ্যাবন্ড হেড অব বিজনেস আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি অ্যান্ড হেড অব বিজনেস সালমা আক্তার, সাবেক ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব ক্রেডিট কমিটি মশিউর রহমান, সাবেক এমডি অ্যান্ড প্রেসিডেন্ট অব ক্রেডিট কমিটি শামীম আহমেদ চৌধুরী এবং ব্যবসায়ী এ এন এম তায়েবুর রশীদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের গ্রাহক সিম্যাটসিটি জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি, এটিজেড কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং ইউরো কারস হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিডেটকে ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ঋণের আড়ালে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে।