এক বছরেও লবণের ঘাটতি হবে না : শিল্পমন্ত্রী
আগামী এক বছরেও দেশে লবণের কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে লবণের চাহিদা ১৬ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। আজ পর্যন্ত ছয় লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ডিজিটাল ওয়েজ সামিটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। এ সময় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০। এর মধ্যে বর্তমানে ২২২টি মিল চালু রয়েছে। চালু মিলগুলোর সর্বমোট দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন। ভোজ্য লবণের দৈনিক জাতীয় চাহিদা দুই হাজার ৪৫৪ মেট্রিক টন। ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা কম থাকায় মিলগুলো উৎপাদন কমিয়ে দৈনিক তিন হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করছে।
‘গতকাল ১৯ নভেম্বর মিলগুলো থেকে বাজারে মোট তিন হাজার ২০০ মেট্রিক টন লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। নতুন মৌসুমে উৎপাদিত লবণও এরমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত মজুদের ফলে শুধু ছয় মাস নয়, আগামী এক বছরেও লবণের কোনো ঘাটতি হবে না।’
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে একটি কুচক্রীমহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। পদ্মা সেতু, রামু, ভোলা ও নাসিরনগরের ঘটনা, যানবাহন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ইত্যাদি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে এ ধরনের মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চলছে। ওপেন ডাটা এনালাইসিসের মাধ্যমে এরমধ্যে এসব জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্রকে শনাক্ত করা হয়েছে। দেশবিরোধী এসব সাইবার ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভোক্তাদের সুবিধার্থে আজ থেকে বিসিক রাজধানীর চারটি স্পটে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি শুরু করেছে। স্পটগুলো হচ্ছে- উত্তরা বিজিবি মার্কেট, ধানমণ্ডি ৯/এ, মিরপুর-১ এবং লালবাগ শ্যামা সল্ট মিল প্রাঙ্গণ। প্রতি কেজি সরু লবণ ৩০ টাকা এবং মোটা লবণ ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।