উহানফেরতরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন
চীনের উহান শহর থেকে দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আজ শনিবার রাত থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে সবাই হয়তো রাতে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। কাল রোববার সকালেও হয়তো কেউ কেউ বাড়ি ফিরে যাবেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখা হয় উহান থেকে ফেরা ৩১২ বাংলাদেশিকে। টানা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ শেষে আজ তাদের বাড়িতে পাঠানোর কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এখন তাঁদের সঙ্গে মিশতে বা কথা বলায় কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না বলেও জানানো হয়।
বিকেল থেকে তাদের চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অনেকের স্বজনরা এসে সেখানে ভিড় জমান। তাদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। তাঁরা জানান, বিকেল থেকে তাদের ফরম পূরণ শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বলতে চাই, ৩১২ জনই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ-উপসর্গ নেই।’
উহানফেরত ৩১২ বাংলাদেশির সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ নেই উল্লেখ করে আইইডিসিআর পরিচালক আরো বলেন, ‘তাঁরা আমাদের মতনই একজন। তাঁরা কোয়ারেন্টাইন শেষ করে যখন আসবেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব এবং আমরা তাঁদের সঙ্গে মাস্ক ছাড়াই কথা বলব।’
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫২৩ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৩ জনের। এ ছাড়া আজ শনিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬৬ হাজার ৪৯২ জনে। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৪১ জন। দেশটির স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, বরাবরের মতো অন্য এলাকার চেয়ে চীনের হুবেই প্রদেশে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই প্রদেশে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত উহান শহরেই একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। এখন পর্যন্ত সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১২৩।