তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গতকাল যে উপনির্বাচনগুলো হয়েছে, আমাদের দেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে এগুলো অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন, সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না। আবার যারা ভোটার হন, সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে।’ 

সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পিআইডি প্রকাশিত ‘উন্নয়নের নবদিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেই তার কোমর ভেঙে ফেলেছে। এখন তারা হাঁটা শুরু করেছে। সরকার আশা করে বিএনপি সব সময় গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে। বিএনপি এখন বুঝতে পেরেছে, সরকারকে ধাক্কা দিয়ে লাভ হবে না। সরকারের ভিত অনেক গভীরে। তবে বিএনপির ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সব সময় ছিল, এখনও আছে। তারা জানে যে, ২০০৮ সালে ২৯ আসন পেয়েছিল, পরে উপনির্বাচনে বেড়ে ৩০টি আসন অতিক্রম করে। ২০১৪ সালে বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও যে তাদের সম্ভাবনা নেই, সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানান ধরনের কথাবার্তা বলে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আবদুস সাত্তারকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছিল, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই, আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা যে কাউকে পছন্দ করতে পারেন। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের দলের কোনো নির্দেশনা কারও পক্ষে নামার জন্য ছিল না। যে যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বরাবরই উপনির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। আর জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে। অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সে জন্যই ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’