ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের নবম ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনতে রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের নবম ওয়েজবোর্ডসহ পরবর্তী ওয়েজ বোর্ডগুলোর আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেটে থাকা মন্ত্রিপরিষদের তিনটি সুপারিশ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই তিনটি সুপারিশ হচ্ছে-সংবাদকর্মীরা আয়কর দেবেন, এক মাসের গ্র্যাচুইটি পাবেন ও নবম ওয়েজ বোর্ড পর্যায়ক্রম অনুসরণযোগ্য।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্যসচিব ও শ্রম সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল করিম বিপ্লব।
এর আগে ৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভার সুপারিশ গেজেটে থাকা অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস রিটটি করেন।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল বলেন, ‘নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রকাশিত গেজেটের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রিসভার তিনটি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো হলো-সংবাদকর্মীরা আয়কর দেবেন, এক মাসের গ্রাচ্যুইটি পাবেন ও নবম ওয়েজ বোর্ড পর্যায়ক্রম অনুসরণযোগ্য।’ তিনি বলেন, ‘অথচ গেজেটে আছে সংবাদকর্মীরা দুটি গ্রাচ্যুইটি পাবেন। এই সুপারিশ গেজেটে থাকা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া পঞ্চম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে করা মামলার রায়ে এসেছে সংবাদকর্মীদের আয়কর দেবেন সংবাদপত্রের মালিক। তাই মন্ত্রিসভার ওই সুপারিশ আইনে সমর্থন করে না। এমনকি কাউকে একবার কোনো অধিকার দেওয়া হলে আইন অনুসারে তা খর্ব করা যায় না বলে রিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
আইনজীবী সলিল পাল আরো বলেন, ‘শ্রম বিধিমালায় গণমাধ্যমের ব্যাখ্যায় ইলেকট্রনিক মিডিয়াও আছে। তাই তাদের ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।’
