ইরফান সেলিমের সহযোগী দিপু ফের রিমান্ডে
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে এবার দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান এই আদেশ দেন। এ নিয়ে দিপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো রিমান্ডে পেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আশরাফ বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি দিপুকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে ফের পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর দিপুকে প্রথমবার তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকার সিএমএম আদালত।
গত ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে দিপুকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে একই মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, তাঁর গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান ও সহযোগী মো. জাহিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৬ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন ২৭ অক্টোবর সকালে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
মামলার পর গত ২৭ অক্টোবর দুপুর থেকে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।