ইভিএমে ভোট গ্রহণকে ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে : তাপস
নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণকে ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও জোড়াপুকুরপাড়ে প্রচারের শুরুতে সাংবাদিকদের সামনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এই দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন ঢাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য নয়, ঢাকাবাসীকে সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয়, কষ্ট লাঘবের জন্য নয়, ঢাকাবাসীকে উন্নত ঢাকা উপহার দেওয়ার জন্য নয়। বরং তারা বারবার বলছেন, এটা তাদের আন্দোলনের একটি অংশ এবং তাদের নেত্রীকে মুক্ত করার আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনকে দেখছে।’
‘সুতরাং আমি মনে করি না যে, ঢাকাবাসী সেটাকে গ্রহণ করবে। এখন তাঁরা ইভিএমের কথা বলছেন। তবে আমি মনে করি না, এ ব্যাপারে ঢাকাবাসীর কোনো শঙ্কা রয়েছে। আমি মনে করি, আধুনিক প্রযুক্তি সবাই সাদরে গ্রহণ করেছে। একটি সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকাবাসী তাদের সেবক নির্বাচিত করবেন।’
নির্বাচনী ইশতেহার কবে ঘোষণা করবেন এবং ঢাকাবাসীর জন্য আপনার প্রতিশ্রুতি কী—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর উদ্দেশে আমরা যে উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি, আমি বিশ্বাস করি তাঁরা এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। এভাবে উন্নয়নের রূপরেখা এবারেও কেউ দেয়নি, এর আগে কখনো কেউ দেয়নি। সেই নির্দিষ্ট রূপরেখার আওতায় উন্নত ঢাকা গড়ার বিস্তারিত আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকাশ করব। কিন্তু এই পর্যন্ত আমরা যেগুলো ঢাকাবাসীর মাঝে তুলে ধরেছি, তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন।’
‘আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কার্যক্রম চলছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এ জন্য কাজ করছে। আমরা আশা করছি, দু-একদিনের ভেতরে আমরা পূর্ণাঙ্গ ইশতেহার ঢাকাবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারব,’ যোগ করেন তাপস।
স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে তাপস আরো বলেন, ‘আমরা ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। আমি ঢাকাবাসীর কাছে অনুরোধ করব সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা করতে সুযোগ দিন।’
ফুটপাত দখলমুক্ত করার কোনো রূপরেখা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘আমাদের সচল ঢাকার যে রূপরেখা রয়েছে, সেখানে পর্যায়ক্রমে একটি মহাপরিকল্পনার আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সচল হিসেবে গড়ে তুলব। সেখানে রাস্তাঘাট হোক আর ফুটপাত, সেগুলো অবমুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব। তবে এটা পর্যায়ক্রমে করতে হবে।’
‘কারণ আমাদের যাঁরা ফুটপাতে ব্যবসা করেন, তাঁরা আসলেই শোষিত। তাঁদের শোষণ করা হয় বিভিন্ন মিডলম্যানের মাধ্যমে। পর্যায়ক্রমে আমরা তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেব। এর আগে পুনর্বাসনের কথা বলা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাস্তা নির্ধারণ করে একটি তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টি করব। সেই তথ্যভাণ্ডারের যাঁরা সেসব রাস্তায় ব্যবসা করেন, তাঁদের একদিকে পুনর্বাসিত করব এবং পর্যায়ক্রমে আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করব,’ বলেন তাপস।