ইউজিসির মেধা মূল্যায়নে এগিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে দেশের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (চমেবি)। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এক বছরের মাথায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে এসেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ৮০.৮৮ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নে প্রথম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সনে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় মেডিকেল বিশবিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কালেজ, নার্সিং কলেজ ও অন্যান্য মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ হতে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে (চমেবি) চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষাখাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন, কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সজাগ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সঙ্গে ২০১৮-২০১৯ সাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করে আসছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে এ অর্জনে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএর ফোকাল পয়েন্ট, এপিএ টিমের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সামনের দিনগুলোতে যেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান অর্জন করতে পারে এবং বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যপারে সবার সহযোগিতা কামনা করি।’