আশুগঞ্জে সেচ প্রকল্পের পানি অবমুক্ত
৬৬ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিএসিডিসির তত্ত্বাবধায়নে আশুগঞ্জ-পলাশ অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের চলতি বছরের সেচের পানি অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিএডিসির পূর্বাঞ্চলের সেচ বিভাগের অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে পানি অবমুক্ত উদ্বোধন করেন। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ভেতরে ইনটেক পয়েন্ট প্রধান স্লুইস গেট খুলে দিয়ে এ পানি অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি, বিএডিসির পূর্বাঞ্চলের সেচ বিভাগের অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল করিম, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাস, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ওবায়েদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘চলতি ইরি-বোরে মৌসুমে কৃষকদের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা জন্য পানি অবমুক্ত করা হয়েছে। কোথায় পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে সেখানেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে পানি চলাচল নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে সবাই আন্তরিক। আশা করি পানি প্রবাহে কোনো বাধা থাকবে না এবং কৃষকরা নির্বিঘ্নে তাদের ফসলি জমিতে পানি পাবে।’
আশুগঞ্জ-পলাশ অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে এবং ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর থেকে বিএডিসির তত্ত্বাবধায়নে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যপানি রেগুলেটরের মাধ্যমে গতিপথ পরিবর্তন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল, নবীনগর এবং সদর উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে নামমাত্র মূল্যে সেচ সুবিধা দেওয়া হয়।