আশুগঞ্জে নকল সরবরাহের অভিযোগে পাঁচ শিক্ষকের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে পাঁচ মাদ্রাসা শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, এসএসসি, দাখিলসহ সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে সার কারখানা স্কুলকেন্দ্রে নকল সরবরাহ করার সময় পাঁচ মাদ্রাসা শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দার।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী সুপার মওলানা মাজহারুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, খৌরাপাড়া উমেদ আলী শাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন মোল্লা, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর মাদিনীয়া মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী এবং আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর করিমিয়া কামেল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. কবির হোসেন।
জিজ্ঞাসাবাদে নকল সরবরাহের কথা স্বীকার করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দার তাৎক্ষণিকভাবে ওই পাঁচ শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা নকল সরবরাহ করে একটি গুরুতর অপরাধ করেছেন। ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়, এ জন্য তাঁদের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, ‘নকল সরবরাহ করা একটি গর্হিত এবং গুরুতর অপরাধ। এটা জেনেও শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করার সাহস পায়, এটা আমি ভেবে পাই না।’