আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকায় স্থানান্তর
চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর (বড় মাদ্রাসা) সদ্যসাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে হেফাজত আমিরকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়। পরে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) আট নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহমদ শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠের পাশে অবস্থিত আজগর আলী হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আহমদ শফীর নাতি মোহাম্মদ ইয়াকুব বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘দাদাজানের সঙ্গে আমাদের আত্মীয় মেহেদি মহিউদ্দিন রয়েছেন।‘
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আজগর আলী হাসপাতালের কল সেন্টার থেকে অদিতি নামে একজন বলেন, ‘আহমদ শফী মাত্রই এখানে পৌঁছেছেন। তিনি জরুরি বিভাগে আছেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুরা কমিটির সভায় মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন আল্লামা আহমদ শফী। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও শুরা সভার প্রধান হিসেবে তাঁকে মনোনীত করা হয়। বর্তমানে শুরা কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনা করবে বলে সভা থেকে জানানো হয়। পরবর্তী মুহতামিম নিয়োগ বা নির্বাচনের দায়িত্ব শুরা কমিটি পালন করবে। একইসঙ্গে তাঁর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভাঙার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে দুদিন ধরে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্যকে মাদ্রাসার আশপাশে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।