আ.লীগ নেতার মৃত্যু, চিকিৎসকসহ ছয়জন কোয়ারেন্টিনে, দুমকি লকডাউন
বরগুনার স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সুপার, দুই চিকিৎসকসহ ছয়জনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওই আওয়ামী লীগ নেতা পটুয়াখালী হাসপাতালে মারা যান। তারপর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
রিপোর্ট পটুয়াখালীতে আসার পর হাসপাতালের সুপার ডা. আ. মতিন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা: মসিউর রহমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম) ডা. জিয়া, নমুনা সংগ্রহকারী স্টাফসহ ছয়জনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত এক যুবক মারা যাওয়ার পর দুমকি উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুমকি উপজেলায় জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিত যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দুমকি উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই যুবক (৩০) মারা যান। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা নিয়ে ওই যুবক গত রোববার নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি আসেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে আসার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ওই দিন থেকে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়।
গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠিয়েছিলেন। পরদিন ওই যুবকের অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় তিনি বাড়িতেই মারা যান।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মারা যাওয়া ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল বিকেলে পটুয়াখালীতে এসে পৌঁছেছে। নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।
দুমকি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মোতাবেক মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে।