‘আ.লীগ কথায় নয়, উন্নয়নে বিশ্বাসী’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কথায় নয়, কাজে এবং উন্নয়নে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে নৌ, স্থল এবং আকাশপথসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।’
পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার নগরবাড়ী ঘাটে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ এই নদীবন্দর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা।’ কিন্ত সেই ঠিকানা নষ্ট হতে বসেছিল। কিন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সেক্টর আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ২০১০ সাল পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মাত্র সাতটি ড্রেজার ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌপথকে আরো উন্নত সমৃদ্ধ করতে এবং নৌপথ সচল রাখতে এখন ২০০-এর বেশি ড্রেজার সংগ্রহ হয়েছে আমাদের। শেখ হাসিনার নির্দেশেই নগরবাড়ি নদীবন্দর নির্মাণ কাজ শুরু করা হলো। বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প হিসেবে বহু পথ সচল থাকবে। নগরবাড়ি বন্দরও একটি বিকল্প পথ হবে। উত্তবঙ্গের ১৬ জেলার সিংহদ্বার ছিল যে নগরবাড়ি ঘাট, সেখানে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।’
প্রায় ৫১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর উদ্যোগে এই নদীবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানান, আরিচা নদীবন্দরের আওতায় ১৯৮৩ সালে নগরবাড়ী বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটিকে পূর্ণাঙ্গ নদীবনন্দরে রূপ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ৫১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ এই নদীবন্দর নির্মাণ হচ্ছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
কর্তৃপক্ষ আরো জানান, নগরবাড়ী ঘাট একটি ঐতিহ্যবাহী ঘাট। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মালামাল বিতরণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র এটি। এ ঘাটে মূলত সার, সিমেন্ট, পাথর, বালু, কয়লা, খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য বাল্ক (খোলা) সামগ্রী ওঠানামা হয়ে থাকে। নগরবাড়ী ঘাটে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদি না থাকায় নগরবাড়ী এলাকায় আধুনিক বন্দর অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল কাজগুলো হলো- ভূমি উন্নয়ন, ড্রেজিং, পাকা জেটি, তীর রক্ষা বাঁধ, সংযোগ সড়ক, স্টিল গ্যাংওয়ে, পন্টুন, কাঁটাতারসহ সীমানা প্রাচীর, যাত্রী ছাউনি, পাকা সিঁড়ি, গুদাম, উন্মুক্ত মজুদ স্থান, বন্দর ভবন, প্রশাসনিক ভবন, পরিদর্শন বাংলো, ডরমিটরি ও পাইলট হাউজ নির্মাণ।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গৌতম কুমার বিশ্বাস।