‘আ.লীগের পর্যবেক্ষকরা সন্ধ্যায় বলবে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘২২টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ১৮টির কোনো ওয়েবসাইট নাই। এদের বেশিরভাগই খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদের লোকবলও নাই। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোয় বেশিরভাগেই আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন। তাঁরা সন্ধ্যার সময় বলবেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
‘ইভিএমের ব্যাপারে তো বলার দরকার নাই। ইভিএম সংখ্যা দেবে, আর পর্যবেক্ষকরা এটাকে স্বাগত জানাবে’, যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে এ বৈঠক প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে। বিকেল সাড়ে ৪টায় আমীর খসরু গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, ঢাকার নির্বাচন বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ তাঁরা ইসিকে জানিয়েছেন।
এ সময় রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারে হামলার ঘটনায় বিএনপির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের যে অবস্থা, যে দখলদারত্ব খবরদারির রাজনীতি চলছে, এই রাজনীতিতে বিএনপি আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করেছে, এ কথা বিশ্বাস করার কারণ আছে? আর মামলা তো উল্টো হয়। আপনাকে মারবে, আবার মামলাও দেবে। এটা বাংলাদেশের নিউ নর্মস, নতুন নিয়ম।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ফুটপাতের ওপর শতাধিক নির্বাচনী কার্যালয় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে এগুলো সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে ফেলা। এরপর যদি আবার করে তাদের শোকজ ও জরিমানা করা হবে। তারপরে যদি আবার করে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এটা হচ্ছে আইন। এর কোনো আইন মানা হচ্ছে না।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত পোস্টারের চেয়ে বড় পোস্টার দিয়ে ঢাকা শহর ছেয়ে ফেলেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা কোথায় তাহলে? এই ধারা যদি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত চলে তাহলে এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে? একটি দল রাস্তা, ফুটপাত, ল্যাম্পপোস্ট দখল করে মাইকিং করে যাচ্ছে; কিছুই মানছে না আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আইনকানুন ভঙ্গ করে নির্বাচন করার যে সংস্কৃতি, এটা কী হঠাৎ করে নির্বাচনের দিন পরিবর্তন হয়ে যাবে? এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ আছে? কোনো কারণ নাই।’
মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কোনো ভ্রাম্যমাণ দল নেই বলে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। তাদের কোনো নিরাপত্তা নাই। আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি, তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। প্রার্থীর গায়ে হাত তুলছে, তাতেও মামলা হচ্ছে না।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওভারসাইজ ছবি নামিয়ে ফেলা এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে চলা মাইকিং বন্ধ করা হবে এমন প্রতিশ্রুতি ইসি দিয়েছে বলে জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।