আরো কঠিন কর্মসূচির কথা ভাবছে অনশনরত পাটকল শ্রমিকরা
মজুরি কমিশন কার্যকরসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য দ্বিতীয় দফায় শুরু করা আমরণ অনশনের ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের পক্ষ হতে সুরাহার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খুলনার প্লাটিনাম জুবলী জুট মিল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর।
হুমায়ুন কবির বলেন, এখনো কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় কমিটির সিবিএ- ননসিবিএ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস আসতেছে না বরং উল্টো হুমকি আসতেছে। আমরা চাই, আজকে সন্ধ্যার মধ্যে যদি কোনো কিছু না হয়, তাহলে আমরা বসে নতুন কর্মসূচি দেব।
এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার পরিবার-পরিজন নিয়ে অনশনে অংশ নেওয়া হতে পারে। আজ রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ বৈঠক করে আমরণ অনশন কর্মসূচির পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।
একই জুটমিলের সিবিএ সভাপতি সাহানা শারমিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ১৫ ডিসেম্বরের বৈঠকের পর বলা হয়েছিল যে, ২২ তারিখের ভিতরে আমাদের যে দাবি-দাওয়া আছে সেটা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাই আমরা আবারও এই অনশন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। তারা শুধু সময় নিচ্ছে। আর কত সময় দেব? এরপর আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই ।’
এদিকে, শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা এবার দাবি আদায় এবং মজুরি কমিশন কার্যকর করা না হলে ঘরে ফিরে যাবেন না।
মজুরি কমিশন কার্যকরসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে গতকাল রোববার দুপুর থেকে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ ও নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ ফের আমরণ অনশন শুরু করেছে। দুপুর ২টা থেকে মিলগেটের সামনে বিএডিসি রোডে প্যান্ডেলের ভিতর আমরণ অনশন শুরু করেন শ্রমিকরা। এর আগে লাগাতার কর্মসূচি শেষে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে শ্রমিকরা অমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। সেই সময়ের অনশনে অসুস্থ হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের অনুরোধে গত ১৪ ডিসেম্বর কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রমিক নেতারা ঢাকায় বিজেএমসি, পাট মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা করে ব্যর্থ হয়ে ২৭ ডিসেম্বর খুলনায় ফিরে আসেন।
এরপর গতকাল থেকে আবার অমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এতে অংশ নিতে পাটকল শ্রমিকরা বিছানাপত্র নিয়ে বিএডিসি সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।