আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে অবৈধভাবে চলছে অর্ধশত স্পিডবোট
মানিকগঞ্জের আরিচা থেকে পাবনার কাজিরহাট নৌপথে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে চলাচল করছে অর্ধশতাধিক স্পিডবোট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ওই নৌপথে স্পিডবোট চলাচলের অনুমোদন না দিলেও প্রতিদিন স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে যেমন বাড়ছে ঝুঁকি, তেমনি যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা লঞ্চ ঘাটের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে স্পিডবোট ঘাট। লঞ্চঘাট থেকে অবৈধ স্পিডবোটের এই ঘাটের দূরত্ব সর্বোচ্চ ১০ গজ। আর বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের দূরত্ব ২০০ মিটারের মতো। প্রতিদিনই অবৈধ এসব স্পিডবোট চলাচল করতে দেখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একেকটি স্পিডবোটে আট থেকে ১০ জন যাত্রী নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা যাত্রী নিচ্ছে ১৬ থেকে ২০ জন, যা ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করা হলেও সেগুলোর নেই কোনো বয়া বা লাইফ জ্যাকেট। এসব স্পিডবোটের যেমন ফিটনেস সনদ নেই, তেমনি চালকদেরও নেই কোনো লাইসেন্স।
এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের উপপরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘স্পিডবোটের ফিটনেস সনদ দেয় সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর। ফিটনেস সনদ দেওয়ার পর রুট পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। যেহেতু স্পিডবোটগুলোর ফিটনেস সনদ নেই, সেহেতু রুট পারমিট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অবৈধ স্পিডবোটের বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
আরিচা ঘাট স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম খানকে ফোন করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।