আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, শাশুড়ি গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা মৎস্যজীবীপাড়ার এক গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ ওই গৃহবধূর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে নিহত গৃহবধূর মা দোলা বিবি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
নিহত গৃহবধূ শিউলি আতাইকুলা উপজেলার মৎস্যজীবীপাড়ার সুমন আলীর স্ত্রী এবং সদর উপজেলার শৈলগাছী (দীঘিরপাড়া বাজার) গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে।
গৃহবধূ শিউলির মা দোলা বেগম জানান, এক বছর আগে তাঁর মেয়ে শিউলি বেগমকে সুমন আলীর (২২) সঙ্গে বিয়ে দেন। এরপর কয়েক মাস ধরে সুমনের পরিবারের লোকজন শিউলিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে মীমাংসাও করা হয়।
এরপর গত ৪ এপ্রিল শিউলি তাঁর ননদের মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সেখানেও স্বামী সুমন আলী তাঁকে মারধর করেন। পরে গতকাল বাড়িতে এলে দুপুরে একই ঘটনার জের ধরে পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এ সময় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক পান করেন শিউলি। তাঁকে প্রথমে রাণীনগর এবং পরে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিউলির লাশ ফেলে রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিউলির মা দোলা বেগম বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতেই মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শিউলির স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ পাঁচজনেরা নামে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে রাণীনগর থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিউলির শাশুড়ি কিরণ বিবিকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বলেন, ‘গৃহবধূ শিউলিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় শাশুড়িকে গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসমিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।