আট রোহিঙ্গাসহ ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত, ১৬ হাজার লকডাউনে
কক্সবাজার জেলায় আজ শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন আট রোহিঙ্গাসহ ৩৬ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত মোট ২১ জন রোহিঙ্গা করোনা রোগী পাওয়া গেল। আজ নতুন শনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাতজন কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একই পরিবারের বাসিন্দা। অপর শনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গা মো. আলম টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
এই প্রথম উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও রোহিঙ্গা করোনা রোগী পাওয়া গেল। তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু মোহাম্মদ তোহা।
ডা. তোহা বলেন, ‘এ পর্যন্ত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৮৬ জন রোহিঙ্গার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যেসব ব্লকে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে সেসব ব্লকের বাড়িঘর আলাদা করে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত কুতুপালং ৬ নম্বর ক্যাম্পের ৩৬শ পরিবারের ১৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে লাল পতাকা দিয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্লকে ঢোকা কিংবা বাহির হওয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’
অপরদিকে আজ শুক্রবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলার ২৮ জন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে শুধু চকরিয়া উপজেলায় ১৯ জন, মহেশখালী উপজেলায় পাঁচজন রয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজারে ২১ রোহিঙ্গাসহ মোট ৩১৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়া কক্সবাজার বাজার ঘাটার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নুরুল আবছার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান।