‘আজ এত পুলিশ কেন?’
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাশের রাস্তার ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন হালিম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। হঠাৎ তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দেখে তিনি রাস্তা থেকে লোহার পাচিলের ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখছিলেন।
হঠাৎ হালিম আহমেদ সোহেল নামের এক পুলিশ সদস্যের কাছে জানতে চাইলেন, ‘আজ এত পুলিশ কেন?’
পুলিশ সদস্য সোহেল বললেন, ‘আজ হলি আর্টিজানের জঙ্গিদের রায় দেবে।’
হালিমের পাল্টা প্রশ্ন, ‘তাহলে এত র্যাব-পুলিশ কেন? বহুদিন এখানে এত পুলিশ দেখনি।’
উত্তরে সোহেল বললেন, ‘এত কিছু জানি না, আপনি চলে যান। এখানে দাঁড়ানো যাবে না।’
আজ বুধবার সকাল ঠিক ৯টার সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের মূল প্রবেশদ্বারের পাশে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
আদালতের মূল ভবনের সামনে অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আর সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে উৎসুক মানুষের কমতি নেই। এর ভেতরে শাহীন হোসেন নামের এক ব্যক্তি একজন সাংবাদিকের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এত মিডিয়া কেন আজ? এক টেলিভিশনের দু-তিনজন করে লোক আছে দেখছি। কাহিনি কী?’
তখন সাংবাদিক তাঁকে জানালেন, ‘আজ হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় জঙ্গিদের রায়।’ এই কথা শুনে মাথা নাড়াতে নাড়াতে শাহীন স্থান ত্যাগ করে পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
আদালত চত্বরে আজ সকাল সাড়ে ৯টার সময় দেখা যায়, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুলিশ, র্যাব আর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে ভরে উঠেছে আদালত চত্বর। আদালতের ভেতরে প্রবেশ করছেন এমন সব মানুষকে তল্লাশি করে ঢোকানো হচ্ছে। বাদ যাচ্ছেন না দায়রা জজ আদালতের আইনজীবীরাও।
আদালতের মূল প্রবেশদ্বার ও পেছনের জজকোর্ট মসজিদ গেট দিয়ে কাউকেই মোটরসাইকেল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।