আখাউড়ায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার রুটি গ্রামে প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় বর ও কনে উভয় পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই কনে নূরপুর-রুটি আব্দুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং বর একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, আজ দুপুরে রুটি গ্রামের প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে জুনায়েদ বাবুর বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বর নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন অর্ধশত বরযাত্রী। বরযাত্রীদের ভোজের জন্য খাবার টেবিলে বসানো হয়। বিয়ে বাড়িতে তখন এক আনন্দঘন মুহূর্ত। এ সময় কনের বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও রুমানা আক্তার। পরে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল আলমের উপস্থিতিতে বর-কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় উভয় পক্ষের অভিভাবক মুচলেকা দেন সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিবেন না।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করায় এবং বর ও কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। উভয় পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।