আওয়ামী লীগের সাংসদ মান্নানের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নানের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের জানাজা শেষে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানকে রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সালাম জানানো হয়।
আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, দুঃসময়ে দলের সাহসী কর্মী হিসেবে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল আবদুল মান্নানের সক্রিয় উপস্থিতি। আবদুল মান্নানের অকালমৃত্যুতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁকে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে দুপুর আড়াইটায় তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তিনি ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গত শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আবদুল মান্নান।
আবদুল মান্নান ১৯৫৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মৃত জালাল উদ্দিন সরদার। তিনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাদশ সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। আবদুল মান্নান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপিও ছিলেন।