আওয়ামী লীগের দুই, বিএনপির একক সম্ভাব্য প্রার্থী

প্রথম ধাপে দেশের ২৫টি পৌরসভায় ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ২৫টি পৌরসভার মধ্যে কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা রয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পৌর নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ঢেউ উঠেছে। নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জোর আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন।
আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চান প্রধানত দুজন। অপরদিকে বিএনপির একক প্রার্থী হওয়ায় শক্ত অবস্থানে রয়েছে দলটি।
নৌকার প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তারিকুল ইসলাম তারিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত।
এদিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নিয়ে একক প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আহমেদ রাজু।
এদিকে, বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তারিকুল ইসলাম তারিক আবারও দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি তাঁর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর মধ্যে তুলে ধরে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং আগামীতে আরো কী কী করতে চান তার বার্তা পৌরবাসীর মধ্যে পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন। প্রভাষক তারিকুল ইসলাম তারিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সদর উদ্দিন খানের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মোর্শেদ শান্ত গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলেন। তিনি অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সদর উদ্দিন খানের কাছে। তিনি পৌরবাসীদের ভোট পাবেন বলে শতভাগ বিশ্বাস করেন। পৌর এলাকায় জোর প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। এই নেতা কুষ্টিয়া ৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
একক প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আহমেদ রাজু নিরবে প্রচারণা চালাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। তিনি এর আগের পৌরসভা নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
খোকসা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রশিদুল আলম জানান, ২০০১ সালের ২০ মার্চে প্রতিষ্ঠিত খোকসা পৌরসভা নয়টি ওয়ার্ডে ১৪ হাজার ৯২৩ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৪৩৭ জন ও নারী ভোটার সাত হাজার ৪৮৬ জন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে নয়টি ভোটকেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯টি ভোটকক্ষে ইভিএমের মধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।