উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।  দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ পদের মধ্যে দুই দফায় ৭৪ নেতাকে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে দলের অনেক হেভিওয়েট নেতা যেমন বাদ পরেছে তেমনই এসেছে কিছু নতুন মুখ।

গত ২০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২১ ডিসেম্বর দলের কাউন্সিল অধিবেশনে নবমবারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের। সেদিন শেখ হাসিনা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ মোট ৪২ জনের নাম ঘোষণা করেন।

কাউন্সিলের চার দিন পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ধানমণ্ডিতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আরও ৩২ নেতার নামের ঘোষণা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিভাগ ও অঞ্চলভিত্তিক সমতা আনার জন্য সাতটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে ঘোষিত কমিটিতে। সেগুলো হলো- সাংগঠনিক সম্পাদক-১, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য-৩।

তবে তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঘোষিত ৭৪ পদের মধ্যে নতুন মুখ এসেছে ১৬ জন। বাদ পড়েছেন ১৫ জন।

নতুনদের মধ্যে রয়েছেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রমিক নেতা শাহাজান খান,  মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসেকা আয়েশা খান তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ,  সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (সিলেট)। উপদফতর সম্পাদক ছাত্রলীগের গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর , রাজশাহীর আখতার জাহান, হবিগঞ্জের ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, রংপুরের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, লালমনিরহাটের অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন , ঢাকার অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান , সাহাব উদ্দিন ফরাজী ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা ।