আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নিবন্ধন সংশোধন : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনা। ওয়ান-ইলেভেন থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ আজ বৃহস্পতিবার জুম অনলাইনে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। মানবিক দুর্যোগ চলছে। মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারছে না। এ অবস্থায় ইসি উপনির্বাচন করতে চাইছে। ইসি ভালো কিছু করবে না। নির্বাচন ঠিকভাবে করতে না পারলে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকারকে বিদায় করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে এক দশকের বেশি সময় ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। এটার নাম দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড রেজিম। এতে ইসি ও নির্বাচনের দরকার আছে। ইসি বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করেছে। এই কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ আচরণ পাওয়া যাবে না।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম হয়েছেন। কত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ৩৫ লাখ মানুষ আসামি হয়েছে। খালেদা জিয়াকে জেল খাটতে হয়েছে, তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হচ্ছে।’
রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘টিভিতে দেখলাম হাসপাতালের মালিকের সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা। সরকারের মদদে রিজেন্টের মালিক এসব অপকর্ম করেছে।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটির কথা বলে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দুই বছর ছিল। এখন কেন করা যাবে না। এখন ভোট হলে, যারা ভোট দিতে যাবে, তাদের করোনা সংক্রমণ হতে পারে। সরকার বলছে জনগণকে ঘরে থাকতে, আর নির্বাচন কমিশন জনগণকে ঘরের বাইরে আনতে চাইছে।’
বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন’ শীর্ষক আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুর রশীদ প্রমুখ।