করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আইন মন্ত্রণালয়ের আদেশে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকা দেশের বিভিন্ন আদালতের ৩০ জন বিচারক সুস্থ আছেন। সাধারণ ছুটি শেষে তাঁরা কাজে যোগদান করতে পারবেন।

আজ সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত আসা বিচারকদের ১৪ দিনের ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সতর্কতার জন্য ‘হোম কোয়ারেন্টিনের’ মেয়াদ একদিন বাড়ানো হয়েছে।  এরপর নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা বিচারিক কাজে যোগদান করবেন।

বিচারকরা কবে নাগাদ কাজে যোগদান করবেন—জানতে চাইলে রেজাউল বলেন, সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে ৪ এপ্রিলের পর কাজে যোগ দেবেন।

এ বিষয়ে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “দুই সপ্তাহের ট্রেনিং শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৫ মার্চ রাতে আমরা দেশে ফিরে আসি। বিমানবন্দরে আমাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পর সবাই স্বাভাবিক রয়েছে বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়কে আমরা আসার বিষয়টি অবহিত করি। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ৩০ জন বিচারককে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে আমরা ১৪ দিন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ ছিলাম। সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে; সবাই বলেছেন, তাঁরা সুস্থ আছেন। আমাদের কাজে যোগ দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সাধারণ ছুটি থাকায় এখন কাজ যোগ দিতে পারছি না। আশা করছি, সাধারণ ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে পারব।”  

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, আক্রান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।

সারা বিশ্বে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ১২২ জন, মোট আক্রান্ত সাত লাখ ২৭ হাজার ৬৫০, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ১৭৪, চিকিৎসাধীন পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৩৫৪ জন।

এর মধ্যে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৭৭৯ জন। এ ছাড়া স্পেনে ছয় হাজার ৮০৩ জন, চীনে তিন হাজার ৩০০, যুক্তরাষ্ট্রে দুই হাজার ৫৪৫, ইরানে দুই হাজার ৬৪০, ফ্রান্সে দুই হাজার ৬০৬, যুক্তরাজ্যে এক হাজার ২২৮, নেদারল্যান্ডসে ৭৭১, বেলজিয়ামে ৪৩১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫৮, তুরস্কে ১৩১, সুইডেনে ১১০, ইন্দোনেশিয়ায় ১১৪, কানাডায় ৬৪, মিসরে ৪০, ভারতে ২৭, পাকিস্তানে ১৫ ও সৌদি আরবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।