অভিজিৎ হত্যার পাঁচ বছর আজ, শেষ হয়নি বিচারকাজ
লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যার পাঁচ বছর আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি। আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচারকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
এ মামলার দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের ছয় আসামি হলেন সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়া, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আবদুল্লাহ।
ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ ছাড়া এ মামলায় ১৫ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আবদুস সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।
এরপর মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে এলে বিচার শুরুর মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সরোয়ার জাকির গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে অভিজিতের বাবা অজয় রায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রতি তারিখে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী আনছি। আশা করছি, সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তের মাধ্যমে দ্রুত এ মামলার রায় ঘোষণা করাতে পারব।’
এ ছাড়া আগামী ৩ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ রয়েছে বলে জানান আইনজীবী।