অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসক-ম্যানেজার পুলিশ হেফাজতে
যশোরে চিকিৎসকের অবহেলায় ময়না খাতুন নামের একজন প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করছেন তাঁর স্বজনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর শহরের জেল রোডের ‘বন্ধন’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসক ও ক্লিনিকের ম্যানেজারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
নিহত ময়না খাতুন যশোর শহরের পালবাড়ী গাজীরঘাট এলাকার ইসমাইল হোসেন হিরুর স্ত্রী।
নিহত ময়নার ভাই শিমুল পারভেজ জানান, তাঁর সন্তানসম্ভবা বোনের ব্যথা ওঠায় গতকাল সন্ধ্যার পর শহরের কুইন্স হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানকার সেবিকা সুরাইয়া তাঁদের পাশের বন্ধন হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঢাকা থেকে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ এসেছেন বলে জানান। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তাঁকে ‘বন্ধন’ ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক পরিতোষ কুমার কুণ্ডু তাঁদের জানান, রোগীর অবস্থা ভালো নয়, দ্রুত সিজার করতে হবে। এরপর নতুন করে কোনো আলট্রাসনোগ্রাম কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চার-পাঁচ দিন আগের রিপোর্ট দেখে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। এমনকি তিনি কোনো প্রকার বন্ডসইও করাননি। সিজার করেই চিকিৎসক বেরিয়ে যান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরেই তাঁর বোন ময়নার খিঁচুনি ওঠে এবং তিনি মারা যান। কিন্তু হাসপাতালের সেবিকা ও কর্মীরা মৃত অবস্থায় বোনের শরীরে ইনজেকশন দেয়। এরপর তাঁকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তারা তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্সও ম্যানেজ করে ফেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাত ১১টার দিকে কোতোয়ালি পুলিশকে বিষয়টি জানান তাঁর স্বজনরা।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম জানান, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চিকিৎসক ও ক্লিনিকের ম্যানেজারকে হেফাজতে নেন। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।