‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের মুক্তি’র প্রত্যাশায় সামনে এগুনোর অঙ্গীকার
‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের মুক্তি’র প্রত্যাশায় সামনে এগুনোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনার মতো একেকটা এই ধরনের মহামারির পরে পরিবর্তন আসে, যুগের পরিবর্তন হয়, সভ্যতার পরিবর্তন হয়ে যায়। আসুন আজকে আমরা সবাই মিলে এই পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। গণতন্ত্রের মুক্তি হোক এবং মানুষের মুক্তি হোক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক এবং পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশ মুক্তি পাক-এই হলো আজকে আমাদের অঙ্গীকার।
আজ শনিবার বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল আলোচনা নতুন অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান যা একেবারেই আমাদের জন্য নতুন, বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের কাছে এটা একেবারেই নতুন। অনেকে আমাকে বলেছেন, সামনে শ্রোতা থাকবে, দর্শক থাকবে না- আমরা কার সামনে বক্তব্য রাখব। আমি বলি, আপনি আজকে তিন লাখের বেশি মানুষের সামনে, চার লাখের বেশি মানুষের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। সুতরাং পরিবর্তনটাকে ধরতে হবে।’
জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই জাতিকে একটি স্বাতন্ত্র্য দিয়েছিলেন, একটি পরিচয় দিয়েছিলেন। সেজন্য যখন তিনি শাহাদাত বরণ করলেন, তার জানাজায় লাখ লাখ ক্রন্দরত মানুষের সামনে ইমাম সাহেব আল্লাহর দরবারে হাত তুলে এই কথা প্রার্থনা করলেন যে, আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। তখন সেই লাখ লাখ মানুষ ডুকরে কেঁদে উঠেছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিলেন। সেই কারণে জিয়া, জিয়ার দর্শন, জিয়ার ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজও এত প্রিয়।’
সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লাখো-কোটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে জিয়া কখনো মরে না। আজকে গণতন্ত্রবিহীন, মানবতাহীন নির্মম এই রাষ্ট্রে জিয়া অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য, সংগ্রাম স্বাধীনতার জন্য, সংগ্রাম মুক্তির জন্য-আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।