অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে তা মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি সবাইকে একটা কথা বলব, এই অপপ্রচারে কান দেবেন না। হঠাৎ পেঁয়াজ নাই, লবণ নাই, এটা নাই-সেটা নাই এমন নানা ধরনের কথা প্রচার হয়। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। এটা করবে আমি জানি, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাকে মোকাবিলা করেই আমাদের চলতে হবে। আমরা সেভাবেই চলছি। জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন—ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, সেটাই আমাদের প্রত্যয়।’
এ সময় মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও তিন বাহিনীর প্রধান।
সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘শিখা অনির্বাণে’ ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখল বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ চালায় এবং এর মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপন করা হয়।