অন্তঃসত্ত্বাকে গলাকেটে হত্যা, শ্বশুর-শাশুড়ী আটক, পলাতক স্বামী
বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে না দেওয়ায় তমালিকা আক্তার (২২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর-শাশুড়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের চরসিংধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তমালিকার স্বামী রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন রাসেল মিয়া। দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের বাসিন্দা তমালিকা আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এটি ছিল রাসেলের দ্বিতীয় বিয়ে। তমালিকা সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
বিয়ের পর থেকে রাসেল যৌতুকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য তমালিকাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে তমালিকা তাঁর বাবার কাছ থেকে বেশকিছু টাকা এনে রাসেলকে দেন। সম্প্রতি রাসেল আরো টাকা এনে দিতে বলেন। এতে অপারগতা জানালে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালান। এ নিয়ে গ্রাম্য শালিস-দরবারও হয়েছে।
এরই জের ধরে গতকাল বুধবার রাত পৌনে ২টার তমালিকাকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের বরাত দিয়ে জানান বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকেই তমালিকার স্বামী রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি মিজানুর রহমান আরো বলেন, রাসেলের বাবা আবুল হাসিম ও মা মাজেদা আক্তারকে পুলিশ আটক করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাসেল মিয়াকে আটক করতে অভিযান চলছে।