অনলাইন দোকান শার্টোলজিতে ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযান
ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় অনলাইন শপিং প্লাটফর্ম শার্টোলজিতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি দল। ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভ্যাট গোয়েন্দা দল আজ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করেছে।
আজ ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শার্টোলজির ঠিকানা : ৩৮/খ, রোড : ২, সেকশন : ৬, বাউন্ডারি রোড, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬। অভিযানে দেখা যায়, কোনো রকম ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আসছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, শার্টোলজি অনলাইনে মেন্স শার্টস বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে তা বাহক মারফত গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করে থাকে।
ভ্যাট আইন অনুসারে অনলাইনে এই পণ্য বিক্রি করতে ৭.৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। এই কার্যক্রমের সেবা কোড : এস ০৯৯.৬০।
ভ্যাট গোয়েন্দার কাছে ফেসবুকে একজন গ্রাহকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে গোপন সংবাদ সংগ্রহ করা হয়।
এরপর ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ১৯ নভেম্বর এই অভিযানটি পরিচালনা করে। সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এই অভিযানে শার্টোলজির প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিষ্ঠানের অনলাইন কার্যক্রম সংক্রান্ত বেশ কিছু বাণিজ্যিক কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুন থেকে এই প্লাটফর্মে ৬০ লাখ টাকার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা হয়। এর ওপর নির্ধারিত ৭.৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হয় ৪.১৬ লাখ টাকা। অথচ আইনি বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও এই শপিং কার্যক্রমের জন্য ভ্যাট নিবন্ধন নেয়নি অনলাইন শার্টোলজি।
প্রাঙ্গণ থেকে জব্দকৃত কাগজপত্র অনুসারে, অনলাইন প্লাটফর্মটি পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ করে ৪.১৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।
ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে ব্যবসা করায় এবং ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আজ ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। এটি ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট নিষ্পত্তি করবে।
ভ্যাটের বিচারিক আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁকিকৃত ভ্যাট পরিশোধসহ এই পরিমাণের দ্বিগুণ জরিমানা দণ্ড হতে পারে।
এনবিআরের নির্দেশে এরকম ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আরো যেসব প্লাটফর্মে ব্যবসা চলছে ভ্যাট গোয়েন্দারা তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে এবং অনুসন্ধান শেষে আইনি ব্যবস্থা নেবে।