‘অধিক ফলনশীল জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের ভূমিকা রাখতে হবে’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, দেশের সব জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে দেশের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আজ শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটি আয়োজিত বার্ষিক উদ্ভিদবিজ্ঞান সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে প্রচলিত এবং অপ্রচলিত উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং ঐতিহ্যের মূল চালিকাশক্তি জীবজ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং এর টেকসই ব্যবহার। নিত্যনতুন টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই প্রাকৃতিক সম্পদকে জাতির কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।
বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন স্বল্পতম সময়ে অধিক পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন। বিভিন্ন দেশীয় উদ্ভিদের জার্মপ্লাজমের উন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে অল্প সময়ে অধিক ফলনশীল এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আপনাদের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, এরই মধ্যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন সরকার জনগণের নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা দিতে চায়। গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ বিভিন্ন সেক্টরে দৃশ্যমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। সময়ের আগেই এমডিজির অন্যতম লক্ষ্য দারিদ্র্যের হার কমে আসার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন সূচকের বেশ কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানের উপরে।
প্রফেসর ড. এম আবদুল গফুরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নুহু আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, অধ্যাপক ড. নুরুল আলম, অধ্যাপক ড. ফিরোজা হোসেন, অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।