অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ সেতুমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলমান দুঃসময়ে যেসব পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। আমি এ বিষয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সরকারি নির্দেশনা পালনে আবারেও অনুরোধ করছি। পাশাপাশি এই দুঃসময়ে যে সব পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ, ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, ভিজিলেন টিমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, সংকটের এই সময়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মানবিক সহযোগিতা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তিনি পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের সরকারের দেওয়া নির্ধারিত ভাড়া মেনে চলার আহ্বান জানান।
করোনা সংক্রমণে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ ২১তম স্থানে চলে এসেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলতে পারে।’ তিনি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সরকার জাতির এ সংকটে সবার নিকট দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দ্বিমত, বহুমত গণতান্ত্রিক সমাজের অলংকার। কিন্তু অভিন্ন এ করোনা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধতাই সংকট সমাধানের শক্তি। এতে লড়াইয়ের ময়দানের যোদ্ধারা মনোবল পাবেন।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের সমালোচনাকে রুটিন ওয়ার্কে পরিণত না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি করোনার সংক্রমণ বিস্তারে আরো প্রাণশক্তি জোগাবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘অভিযোগ আছে, অনেক হাসপাতাল করোনা রোগীকে উপেক্ষা করছে। যথাযথ যত্ন ও সেবা দিচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও করোনা যোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘এ সংকটে হাসপাতালে উপেক্ষিত হলে রোগীরা যাবেন কোথায়?’