অটোরিকশা চুরির অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অটোরিকশা চুরির অভিযোগে মো. আবু সিয়াম নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় রিকশাচালকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের স্টেশন রোডে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সিয়াম দুই মাস আগে জেলার পাকুন্দিয়া থানা থেকে ভৈরব থানায় যোগদান করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহারুল আলম খান বাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে কনস্টেবল সিয়ামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হৃদয় মিয়া নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আমার কিস্তিতে কেনা অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যায়। এর আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমার মুঠোফোনে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে এবং ২০ হাজার টাকা নিয়ে নরসিংদীর ইটাখোলায় গিয়ে অটোরিকশাটি ফেরত আনতে বলা হয়। পরে আমি কথা অনুযায়ী টাকা নিয়ে গিয়ে ওই নাম্বারের কল দিলে তা বন্ধ দেখায়। পরবর্তী সময়ে ওই মোবাইল নাম্বারটি আমি মুঠোফোনে সেভ করি। পরে ডাটা অন করলে নাম্বারটি ব্যবহার করে খোলা ইমু আইডি দেখতে পাই। আইডির প্রোফাইলে সেট করা ছিল অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল আবু সিয়ামের ছবি। সেটি পরে আমি আমার সঙ্গের চালকদের দেখাই।’
হৃদয় আরো জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের পলাশের মোড় এলাকায় কনস্টেবল আবু সিয়ামকে দেখতে পেয়ে এক রিকশাচালক হৃদয়কে খবর দেন। এরপর হৃদয়সহ আরো কয়েকজন সিয়ামকে অনুসরণ করেন। একপর্যায়ে বিষয়টি টের পান সিয়াম। টের পেয়ে তিনি দৌঁড়ে পালানোর সময় তাঁকে আটক করে অটোচালকরা। পরে গণপিটুনি দেওয়ার সময় আটককৃত যুবক নিজেকে ‘পুলিশ কনস্টেবল’ বলে পরিচয় দেন। তখন থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ভৈরব থানার সিনিয়র উপপরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান রাসেল ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কনস্টেবল আবু সিয়াম বলেন, ‘আমি চুল-দাঁড়ি কাটার জন্য ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। ভুল বুঝে তাঁরা আমার ওপর আক্রমণ করেছে।’