‘অচিন পাখি’ সরাসরি নিউইয়র্ক যাবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগ দিতে এবার আমাদের নিজস্ব বিমানে করে সরাসরি নিউইয়র্কে গিয়েছি। ড্রিমলাইনার নামের এ বিমানটি সবচেয়ে আধুনিক। আমি এর নাম দিয়েছি ‘অচিন পাখি’। এটি অনেক কম দামে আমরা ক্রয় করেছি। এখন থেকে এ বিমানে করে সরাসরি কোনো বিরতি ছাড়া ১৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্ক পৌঁছাতে সক্ষম হব। এটি আমাদের জন্য বড় মাইলফলক।
আজ সোমবার বিকেলে সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
সদ্যসমাপ্ত নিউইয়র্ক সফর ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে অনেক জায়গায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমরা সরাসরি বিমান ক্রয় করে এ ব্যবস্থা চালু রাখছি। বিএনপি ক্ষমতা থাকাবস্থায় দুর্নীতির কারণে আমাদের বিমান ধ্বংসের পথে ছিল। আমরা নতুন বিমান কিনেছি। আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার চেষ্টা করছি। কে কী সমালোচনা করল আমি সেটি নিয়ে চিন্তা করি না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপদযাপন উপলক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষার্থে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি বৃক্ষরোপণ ও একটি বেঞ্চ নির্মাণ করেছি। এটা পৃথিবীর আর কেউ এখনো পর্যন্ত করেনি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন ও গর্বের বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা ও রোহিঙ্গা সংকটের সমস্যা সমাধান করতে যৌথভাবে কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানাই। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ারমারের সৃষ্টি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকায় আমরা সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান এবং বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য এক সরকারি সফরে গত ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করেন। পরে ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান শেষে ১ অক্টোবর দেশে ফেরেন।
গত ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। তিনি ২০ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে উৎসর্গকৃত একটি বেঞ্চ উদ্বোধন এবং একটি চারাগাছ রোপণ করেন।