৫ আগস্ট খুলছে অধস্তন আদালত, থাকছে না ভার্চুয়াল পদ্ধতি
আগামী ৫ আগস্ট থেকে দেশের সব অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোয় আগামী ৫ আগস্ট থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাইকে ৩০ জুলাইয়ের জারীকৃত ১৩ নম্বর জে বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’
করোনাকালে গত ২৬ মার্চের পর দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল বিচারকাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এর মধ্যে গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওই দিনই নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর পর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। গত ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়। পরবর্তী সময়ে আত্মসমর্পণসহ বিভিন্ন মামলার শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়।