১০ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন কামরুল হাসান রিপন
করোনাভাইরাসের সংকটময় মুহূর্তে ঢাকা-৫ আসনে বসবাসরত ১০ হাজারের বেশি পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। গত ১৫ রমজান থেকে উপহার বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার দনিয়ার সরাই এলাকার ৭০০ হতদরিদ্র, অসহায়, খেটে-খাওয়া মানুষের মধ্যে এ ঈদ উপহার তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ ঈদ উপহার বিতরণ উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
এর আগে কাজলার পাড়ের ৬০০ পরিবার, গেন্ডারিয়া ও শ্যামপুর থানা এলাকার ৯০০ পরিবার, ডেমরার তিনটি স্থানে দেড় হাজার পরিবার, ডেমরার কোনাপাড়ার মান্নান স্কুলসংলগ্ন এলাকায় এক হাজার পরিবার, ডেমরার শুন্যাটেংরা, পাইটি ও ডেমরা বাজারে দেড় হাজার পরিবার, ৬৭ ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি স্থানে এক হাজার হাজার পরিবার, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালেব আলী মসজিদ এলাকায় ৫০০ পরিবার, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী নগর এলাকায় ৫০০ পরিবার, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়ার দরবার শরিফ রোডে দেড় হাজার পরিবার, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ৪০০ পরিবারের অসহায়-মেহনতি, এতিম ও প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার তুলে দেন কামরুল হাসান রিপন।
ঈদ উপহারের মধ্যে ছিল শাড়ি, লুঙ্গি, পোলাউয়ের চাল, দুধ, চিনি, দুই ধরনের সেমাই, ভোজ্য তেল ইত্যাদি।
উপহার বিতরণের সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সার্বিক সহযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে এই কার্যক্রম পালন করেছি। গত বছর ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম আমি। তখনই কথা দিয়েছিলাম মনোনয়ন পাই বা না পাই আমি আপনাদের পাশে থাকব। সেই ওয়াদা আমি রেখেছি। আল্লাহ আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবে আমার সাধ্যমতো আমি আপনাদের পাশে থাকব, ইনশা আল্লাহ।’ যতদিন এই করোনার মহাসংকট দূর না হবে ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কামরুল হাসান রিপন।
গত বছর দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কামরুল হাসান রিপন। ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ, ২০ হাজার মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, ২৫ হাজার রোজাদার ব্যক্তির মধ্যে ইফতার ও ১০ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার পৌঁছে দেন তিনি। এবার করোনার দ্বিতীয় ধাপেও ১০ হাজারের বেশি পরিবারের মধ্যে এ ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।