হাসপাতালে একটি শয্যার আশায়...
এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি। হাসপাতালে শয্যা খালি না পেয়ে রোগীদের ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। শয্যা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকায় অধিকাংশ হাসপাতালে সংকটাপন্ন রোগী ছাড়া ভর্তি করানো যাচ্ছে না।
এদিকে, বেশির ভাগ হাসপাতালেই কোনো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বেড খালি নেই। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। উপায় না পেয়ে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে বাসায়। আবার অনেকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন। অক্সিজেন দিয়েই হাসপাতালের ফটকে বসে আছেন রোগীরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে চান তাঁরা। এই যখন অবস্থা, তখন সংকটাপন্ন সব রোগীদের আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ বলেন, ‘এত যখন রোগীর সংখ্যা, তখন আনুপাতিক হারে এক থেকে দুই শতাংশ রোগীর অবস্থা খারাপ হবেই। তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করতে হবে। এখন অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছি আমরা। যেখানেই একটি শয্যা রাখার সুযোগ হয়েছে, সেখানেই আমরা শয্যা রেখেছি। যেহেতু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি, তাই আমরা চেষ্টা করেছি, বেশি সংখ্যক রোগীকে যেন ধারণ করতে পারি।’
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া শনিবারের হিসেবে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৭ জন, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৪৩ জনের। অর্থাৎ গেল এক সপ্তাহেই করোনা শনাক্ত হলো প্রায় ৫০ হাজার জনের। শনাক্তের হার বিবেচনায় শনিবারও ১০০ জনের মধ্যে পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২১ জনের।
এমন বাস্তবতায় করোনা পরিস্থিতির অবনতির পর অনেক কষ্টে যারা হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছিল, তাদের স্বজনেরা যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।
এরই মধ্যে চলছে করোনার টিকাদান কার্যক্রমও। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে টিকার প্রথম ডোজও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া হিসেবে শনিবার সারা দেশে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৭০৩ জনকে। আর প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৯৪৩ জনকে।