হাসপাতালের গেট আটকে গান-বাজনা, আতশবাজি
বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে পিঠা উৎসবের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হয়ে গেল গান-বাজনা ও আতশবাজির আয়োজন। এতে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা ও আতশবাজির বিকট শব্দে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন রোগীসহ তাঁদের স্বজনরা। ফলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটির স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হয়। চিকিৎসকদের এমন কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি হেলথ কেয়ারের পণ্য ‘সারজেল’র সৌজন্যে হাসপাতালের ভেতরে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম, বিএমএ নেতা ডা. আবু সাঈদ ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. শওকত হোসেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
আয়োজনে গান করতে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বহির্বিভাগের ফটকের সিঁড়িকে। এতে বিকট শব্দে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের। এ ছাড়া হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ শহরজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে নতুন বছরের আগমনকে কেন্দ্র করে যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে গান-বাজনা ও আতশবাজি ফোটানোর ওপর পুলিশ প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাও মানেননি চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, ‘এটি কনসার্ট নয়। এটি পিঠা উৎসব। হাসপাতালের আউটডোরে এর আয়োজন করা হয়। পরে রোগীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে অনুষ্ঠানটি সংক্ষেপ করা হয়েছে।’
সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, ‘ডাক্তারদেরও বিনোদনের প্রয়োজন আছে। এতে রোগীদের কারো সমস্যা হয়নি। রোগীদের বিষয়টি আমাদের মাথায় ছিল।’
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, ‘বিষয়টি জানি না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।’