হাইকোর্টে বিক্ষোভ থেকে বিএনপিপন্থী দুই আইনজীবী আটক
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ থেকে দুই আইনজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাইকোর্টের মাজারগেট থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ শামীম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তারা নাশকতার উদ্দেশ্যে মিছিল করছিল। তাদের বিরত করতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। দুই আইনজীবীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’
এর আগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে আদালত খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের দেওয়া খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সর্বসম্মতিক্রমে জামিন নাকচ করে দিচ্ছি। মেডিকেল বোর্ডকে তাঁর (খালেদা জিয়া) প্রপার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা নিতে বলছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। শুরুতে বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এরপর রিপোর্ট পড়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি।
রিপোর্টে বলা হয়, খালেদা জিয়া হাত-পা নড়াচড়া করতে পারেন না। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিছুটা বেশি। দিন দিন শরীর ড্যামেজ হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। প্রপার ট্রিটমেন্ট দরকার। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুমতি ছাড়া নতুন কোনো মেডিসিন পুশ করা যাচ্ছে না।
বেলা ১১টার দিকে আধা ঘণ্টার বিরতি দিয়ে এজলাস থেকে নামেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। বিরতির পর ১১টা ৩৫ মিনিটে আবার এজলাসে ওঠেন বিচারপতিরা। খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আবার শুনানি শুরু করেন। শুনানি শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি শুরু করেন। তারপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম শুনানি করেন। দুপুর ১টায় শুনানি শেষ হয়। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আদেশ ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।