দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করতে পারেন, এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিন।’

নিজ বাসভবনে আজ সোমবার সকালে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

এ সময় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউনের পরে আবারও পরিবহণে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রী সাধারণের চলাচলে সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় পুনরায় চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার পর ধানমন্ডি এলকায় চক্রাকার বাস সেবা পুনরায় চালুরও প্রস্তুতি রয়েছে।’

বিআরটিসির মতো সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি যাতে বাসা বাধতে না পারে সে দিকে কঠোর নজর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। যেকোনো মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বিগত সরকারের সময়ে বিআরটিসি ছিল দুর্নীতির আখড়া।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করতে পারেন, এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিন। লোভ-লালসায় যারা বেপরোয়া, তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, তাই প্রত্যেক সেক্টরে সতর্ক থাকতে হবে। জীবনকে উপভোগ করতে কত টাকা, কত সম্পদ দরকার?’

মন্ত্রী বলেন, ‘মৃত্যুর পরে তো এ সম্পদ সঙ্গে নিতে পারবেন না, তখন এসব সম্পদের কী হবে?’